মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়ার সময় জানা গেল
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা চলতি মে মাসের শেষ থেকে জুনের মধ্যে পাবে। তবে তারিখ এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে এ টাকা দেওয়া হয়। ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, উপবৃত্তির টাকা নিয়ে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের এসএমএস ভুয়া। শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা গেলে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস যায়। উপবৃত্তির টাকা তোলার জন্য কারও ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলার সুযোগ নেই। এ জন্য শিক্ষার্থীকে কোনও টাকাও দিতে হবে না। উপবৃত্তির সার্ভিস চার্জও দিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৪ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবে এ সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও দেওয়া হয়েছিল ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬১ শিক্ষার্থীকে। তাদের ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাত লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬২ হাজারের মধ্যে ৫০৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকা উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনে জটিলতা, যা বলছে এনটিআরসিএ
এ ছাড়া স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৩৫ হাজার থাকলেও দেওয়া হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীকে। তাঁদের ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
উপবৃত্তির টাকা দিতে কেউ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে বললে অপেক্ষা করার পাশাপাশি নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তায় উপবৃত্তির টাকা পাবে। এ জন্য তৃতীয় কারও সঙ্গে লেনদেনের প্রয়োজন নেই।
এ বিষয়ে কেউ প্রতারণার চেষ্টা করলে শিক্ষক অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। উপবৃত্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।