তীব্র গরমের মধ্যেই খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ AM , আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৮ AM
তীব্র গরমের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হয়েছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য কিছু নির্দেশনা মানতে হবে। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি বহাল থাকছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৮ এপ্রিল (রোববার) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন দেবেন।
প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দাবদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার পূর্ব-পর্যন্ত এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চিশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও রোববার থেকে খুলেছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশ বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
আরো পড়ুন: তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে দায় সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষের
প্রচন্ড গরমের মধ্যেও স্কুল-কলেজ খোলায় কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে এর দায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শনিবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপ প্রবাহে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অন লাইনে শ্রেণির কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সারাদেশের তীব্র তাপ প্রবাহের তেমন কোন উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও সরকার রবিবার থেকে সব স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খুলে দেয়ার পরিপত্র জারি করেছে।
ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপ প্রবাহ চলমান থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য দেশের সব মানুষ। তীব্র তাপ প্রবাহে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও যদি কোন শিক্ষার্থীর কোন রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোন রকম ক্ষতি গ্রস্হ হয়, তার সব ধরনের দায়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষে বহন করতে হবে।