আজ থেকে আরও বাড়বে তাপমাত্রা
সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহ যেন আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে প্রকৃতিতে। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার আবারও তিনদিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসে এ নিয়ে টানা তৃতীয় দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো।
আজ মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি আরও প্রকট হতে পারে। চড়তে পারে পারদ। চলতি এপ্রিল মাসের বাকি সময়েও থাকতে পারে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আজ থেকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বাড়তে পারে। সপ্তাহখানেক পর বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি হলে জনজীবনে স্বস্তি মিলতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা রোববার ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায়। এর আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দক্ষিণের জনপদ যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি। এটি ছিল চলতি বছরের সর্বোচ্চ। ওইদিন রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি। এটিও ছিল এ নগরীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ। ঢাকার তাপমাত্রা আরও কমে গতকাল হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
এপ্রিলে রাজশাহী, যশোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও সাতক্ষীরায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর চলতি মাসের মাঝামাঝি এসে সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলারগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে অন্যত্র।
তীব্র গরমের কারণে ইতিামধ্যেই স্কুল-কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় হিট স্ট্রোকে সারা দেশে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তাপপ্রবাহ এ মাসের শেষদিন পর্যন্ত চলবে। মে মাসের শুরুর দিকে যদি বৃষ্টি না হয়, তবে তাপপ্রবাহ আরও দীর্ঘ হবে। তবে এরমধ্যে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রাও বাড়বে। ফলে মানুষের অস্বস্তিও বাড়বে।
তিনি বলেন, এখন দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকছে। রাতে যতটুকু কমে যাওয়ার কথা, সেটা কমছে না। কারণ রাতে তাপমাত্রা রিলিজ হওয়ার কথা। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় তাপটা রিলিজ হচ্ছে না। তাই রাতেও মানুষ অস্বস্তিকর গরম অনুভব করছে।
চলতি মাসের শুরু থেকে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর চলতি মাসের মাঝামাঝি এসে সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এ তাপপ্রবাহ। এরমধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলারগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে অন্যত্র।