প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রভাষক আজহাউল ইসলামের বিরুদ্ধে
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার কোরেশনগর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রভাষক আজহাউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আত্নসাত ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়; সরকারি দপ্তরের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ওবাইদুল ইসলামের ছোট ভাইকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা নিয়েছেন আজহাউল। ভিসা দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলেও তা দিতে গড়িমসি করেন তিনি। পরে আদালতে ভুক্তভোগী ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন আজহাউলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে আদালত আজহাউলকে উপস্থিত হতে বললেও তিনি উপস্থিত হননি।
এ বিষয়ে আজহাউল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আদালতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।আমার ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তার পরামর্শ ছাড়া আমি কিছুই করি না।অভিযোগ আছে তার ভাইয়ের পরিচয় দিয়েই এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আজহাউলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দলিরাম গ্রামে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে উঠলেও কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে অসৎ পন্থা অবলম্বন করেন। বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। নিজ এলাকায় তেমন কিছু না করলেও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল মানুষদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মো: ওবাইদুল ইসলাম বলেন, আমার আপন ছোট ভাইকে বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে। তবে এখনো ভিসা দিতে পারেনি। এই ঘটনায় আদালতে মামলা করেছি।
সন্তোষ এলাকার আতিকুর নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমাকে কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার পরামর্শ দিয়ে সুযোগ করে দিতে আমার বাবার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে। তবে ভিসা দিতে পারেনি। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় টাকা ফেরত পেয়েছি।
রংপুরের আবুল বাশার নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমাকে এলজিইডির প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এখন ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ বলে, তার বাড়িতে টাকা রিটার্ন চাইতে গেলে সে আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা করে।
ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করা মো: মিরাজ বলেন সে আমাকেও বিদেশে স্কলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার লোভনীয় অফার করেছে।
শফিক নামের একজন ভুক্তভুগী বলেন, এলজিইডি এলকেএস এর প্রকল্পে কার্য সহকারী পদের নিয়োগের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা নিয়েছে, টাকাও রিটার্ন করেনি, তাকে খুঁজেও পাই না।