নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়ার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উদীচী যে অনুষ্ঠান করেছে, সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটত, তার দায়দায়িত্ব কে নিত? ‘আমরা মনে করি, নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরই সেই দায়দায়িত্ব নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থার নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটেনি। এই বিষয়ে সরকার সবার সহযোগিতা কামনা করে।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব, এ ক্ষেত্রে সবাই সব সময় সহযোগিতা করবেন। যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।’
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পয়লা বৈশাখ উদযাপনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ ভাতা’ ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেসকো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।