১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৬

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

ঈদের খুশি  © ফাইল ছবি

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এই আনন্দ আর খুশি উদযাপনের ব্যাপারটা যেন একেবারে নিজের পছন্দমতো হতে হয়। কেউ এক কাপ চা পেয়ে খুশি, তো কেউ খুশি গাড়ি-বাড়ি পেয়ে; কেউ খুশিতে কেঁদেকেটে অস্থির হয়ে যায়, তো কেউ আবেগের আতিশায্যে একদম চুপ করে বসে থাকে। যে যেভাবেই আবেগ প্রকাশ করুক না কেন, খুশির ছটা লেগে থাকে সবার চোখে-মুখে। এই অনুভূতি কখনও চেপে রাখা যায় না। আর খুশির উৎস যদি হয় ঈদের মতো কোনো মহিমান্বিত উৎসব, তবে আবেগ-অনুভ‚তি প্রকাশের যেন কোনো কমতি থাকে না।

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পরে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। পৃথিবীর সব মুসলিম কিংবা অমুসলিম দেশেও বেশ ঘটা করে পালন করা হয় ঈদের এ খুশির দিনটি। তবে যে কোনো উৎসবের সাথেই মিশে থাকে প্রতিটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান। ঈদও তার ব্যতিক্রম নয়।

শহর-গ্রাম সবখানেই শোকের মাঝেও উছলে পড়ে ঈদের আনন্দ। ধনী-গরিব ভেদাভেদ নেই। মুসলিম-অমুসলিমেও নেই বৈষম্য। দুনিয়ার সব মানুষের জন্য খুশির সংবাদ নিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত এভাবে হাজির হতো ঈদ। অতীতে এ অঞ্চলে মুসলমানদের ঈদুল ফিতর উদযাপন সম্পর্কে খুব বেশি পরিষ্কার তথ্য পাওয়া দুষ্কর। তবে ইতিহাসবিদদের মতে আমরা যে ঈদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি বা যে ঈদকে দেখি আমাদের একটি বড় উৎসব হিসেবে, তা প্রায় ৬০ বছরের ঐতিহ্য। 

আজ বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ঈদের এই উৎসবে বাঙালি মুসলমান ভুলে যায় সব ভেদাভেদ। সব শ্রেণির মানুষ এককাতারে ঈদের নামাজ পড়েন, করেন কোলাকুলি। তারপর সারদিন চলে খাবার দাবারসহ নানা আয়োজন৷ একমাস রোজা রাখার পর ঈদ আসে খুশি আর সাম্যের বারতা নিয়ে।

ঈদে রাজধানীবাসীর অধিকাংশ মানুষই গ্রামে চলে গেছেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে৷ আর যারা যেতে পারেননি তারাও হাল ছাড়েননি। কেউ কেউ ঈদের দিন সকালেও চেষ্টা করছেন কোন না কোন যানবাহণে চেপে গ্রামে যেতে৷ তবে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় এখন এখানে চিরাচরিত ট্রাফিক জ্যাম নেই৷ সড়কগুলো যেন সুনসান। তাই ট্রাফিক পুলিশও যেন কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছে। ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো– কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থার উপর এসময়ে চাপ বাড়ে।

ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে কর্মজীবী মানুষের বাড়ি ফেরায় প্রতিবছর বেশ ভোগান্তির সৃষ্টি হয় যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে। তবে এবার সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বগি সংযোজন করার পরও অনেক মানুষকে ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকেনি, খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের দামই বেশি। দেশে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক উত্তেজনা নেই; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বছরের অন্যান্য সময়ের মতোই রয়েছে, বিশেষ কোনো অবনতি ঘটেনি।