সাকিবকে সেনা কর্মকর্তারা আমার কাছে নিয়ে আসে: মেজর হাফিজ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে সাকিব নিজ থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন বলে দাবি করেছেন মেজর হাফিজ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বনানীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনএমে যোগ দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাকে বারবার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আমি তাদের জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা আমার মধ্যে নেই। এরমধ্যে সারা দেশব্যাপী এ গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, আমি বিএনপি ত্যাগ করছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে যখন চর্চা চলছে, তার মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। তিনি দেশসেরা ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অল রাউন্ডার। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
‘‘আমি তাকে বলেছি, রাজনীতিতে যোগ দেওয়া তোমার বিষয়। তুমি এখনো খেলাধুলা করছো। এখনই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বে কিনা চিন্তা-ভাবনা করে দেখ। তখন তিনি আমার কাছে উৎসাহ না পেয়ে চলে যান। এ ঘটনা নির্বাচনের ৪-৫ মাস আগের।’’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিটি নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। সাকিবের সঙ্গে আমার ছবিটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে রয়েছি। আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব নয়। বয়স হয়েছে আমি আর কিছুদিনের মধ্যে অবসরে যাবো। সামরিক বাহিনীর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার কাছে আসে নতুন একটি দল খোলার জন্য। তারা হয়তো ভেবেছে আমি বিএনপি ত্যাগ করতে পারি। কারণ বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। কিন্তু এধরনের কোন বিষয় নেই। আমি বিএনপির সঙ্গেই আছি। আমি বিএনএমে যোগ দেইনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘বিএনএমের সাধারণ সম্পাদক তাকে (সাকিব আল হাসান) নিয়ে এসেছিলেন। জনগণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নাই তাদের। তারাই সরকারের আনুকূল্যে দল করেছে। চার-পাঁচজন লোক। ওইটা বিএনএমের ফরম ছিল সম্ভবত।’ এই চার-পাঁচ জন পূর্ব পরিচিত বলেও জানান তিনি।