বাবা-মায়ের যত্নের বাইরে দেশের ৩৪ লাখ পথশিশু
সারা দেশে ৩৪ লাখের বেশি পথশিশু বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এ গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি।
‘চাইল্ড সেনসিটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ ফেইজ-২’ প্রকল্পের অধীনে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চরম দারিদ্র্য, পারিবারিক অস্থিরতা এবং শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের পটভূমি থেকে বেড়ে ওঠা শুরু হয় পথশিশুদের। অর্থনৈতিক চাপ প্রায়ই এসব শিশুকে শ্রমে বাধ্য করে, তাদের শিক্ষার সুযোগ কমিয়ে দেয় এবং দারিদ্র্যের একটি চক্রকে স্থায়ী করে। পিতামাতার অবহেলা, অপব্যবহার এবং পরিত্যাগসহ পারিবারিক কর্মহীনতা সরাসরি তাদের রাস্তায় বেরিয়ে আসতে প্রভাবিত করে।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, পথশিশুরা বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, যার মধ্যে রয়েছে জনগণের সহানুভূতি চাওয়া, অনানুষ্ঠানিক শ্রমে জড়িত হওয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ কার্যকলাপের অবলম্বন করে।
এই রিপোর্টে শুধু চ্যালেঞ্জগুলোই তুলে ধরা হয়নি; বরং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে। পথশিশুরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে তা মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশও করা হয়েছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন সেকশন চিফ নাটালি ম্যাক্কলি বলেন, পথশিশুদের বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। মানুষ যেন এসব শিশুর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তার জন্য সচেতনতার প্রয়োজন। একই সঙ্গে এসব শিশুর জন্য সরকারি প্রকল্প নিতে হবে। শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।