গাজীপুরে গ‍্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১০

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে  © সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর কোনাপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশুসহ আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ জনে।

রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত বারোটার দিকে জহিরুল ইসলাম (৪০), রাত আড়াইটার দিকে মোতালেব (৪৫), সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টায় শিশু সোলায়মান (৯) ও সকাল পৌনে সাতটার দিকে শিশু রাব্বি (১৩) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শিশু সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে। শিশুর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার মো. শাহ আলমের ছেলে।

এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০মিনিটে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান  নার্গিস খাতুন (২২)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের বেড়াকোলা খাপারা গ্রামের মৃত মহিদুল খানের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। এছাড়া ওই ঘটনায় গুরুতর আহত ২০ জনের মতো বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আরিফুল ইসলাম ও সকাল পৌনে সাতটার দিকে মহিদুল নামে দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া শনিবার সকালে মনসুর আলী, শুক্রবার সকালে সোলাইমান মোল্লা ও সন্ধ্যার দিকে শিশু তায়েবা মারা যান।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ির তেলিরচালা টপস্টার এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী শিশুসহ ৩৬ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ