১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৪

জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিতে এখনো কোনো টাকা চায়নি জলদস্যুরা

এমভি আব্দুল্লাহ  © সংগৃহীত

ভারত মহাসাগর থেকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ ও জাহাজে থাকা নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দাবি করেনি সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিষয়টি গণমাধ্যমের সৃষ্টি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলম।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে গণমাধ্যমগুলোকে বিরত থাকতেও অনুরোধ জানান তিনি।

খুরশিদ আলম বলেন, জাহাজের বিমাকারী সংস্থা এবং সোমালিয়ায় দস্যুদের বিষয়ে জানানোর সংস্থা ‘সোমালিয়ান পাইরেটস রিপোর্টিং’ গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের। এছাড়াও বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, এ পথে চলতে গিয়ে গত ২৪ বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ জাহাজ অপহৃত হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনা গেছে। আমরা আগের প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দাবি করেনি সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিষয়টি গণমাধ্যমের সৃষ্টি। আমরা এখনো জানি না তাদের কি দাবি-দাওয়া।

এদিকে, জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করেছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম। সকালে অপহৃত জাহাজটির উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধান ও মার্চেন্ট জাহাজ মালিক এবং অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন একসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মোহাম্মদ মাকসুদ আলম সাংবাদিকদের জানান, সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে জাহাজটি।

তিনি জানান, যেহেতু এখন জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে, আমরা আশা করছি, কোনো না কোনো সময়ে অপহরণকারীরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারপরই আমরা কৌশল ঠিক করবো, কীভাবে আলোচনায় যাবে। এখন আমরা চিন্তা করছি, জাহাজে যারা অবস্থান করছে তারা এবং জাহাজটি যেন নিরাপদ থাকে সে বিষয়টি নিয়ে।