রেলের ৪৭ হাজার পদের ২৩ হাজারই শূন্য, নিয়োগ হবে যেগুলোতে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪৭ হাজার ৬৩৭টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। শূন্য পদ পূরণে গত ১৫ মাসে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ হয়েছে। এরপরও ২৩ হাজার ২৩৪টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে রেলওয়ের কার্যক্রম চলছে অর্ধেক জনবল দিয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জনবলেল ঘাটতি থাকায় সংস্থাটি যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর রেল ভবনে এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন,দেশের সবচেয়ে বড় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ অর্ধেকেরও কম জনবল নিয়ে চলছে। সেখানে দু’হাজার ৮০০ অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে মাত্র ৮৫০ জন কর্মী আছেন। ফলে তাদের সক্ষমতায় প্রভাব পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রেলওয়ে কর্মী নিয়োগ করছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ সহযোগিতার অভাব মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে। তবেসমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭ হাজার ৬৩৭টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ২৪ হাজার ৪০৩ জন কর্মরত আছেন। খালি ২৩ হাজার ২৩৪টি পদ। এর মধ্যে ২০ হাজার ৬৬৬টি তৃতীয় ও চতুর্থ গ্রেডের কর্মচারীদের। ২০২০ সালে নতুন নিয়োগ বিধি অনুমোদিত হওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যে অনেক কর্মচারী অবসরে গেছেন।
আরো পড়ুন: ইন্টারনেটে ঘুরছে রাবির ৮ লোগো, ভুল করছে প্রশাসনও
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গত কয়েক বছরে কয়েকটি নতুন ট্রেন চালু করায় জনবল সংকট আরও বেড়েছে। চারটি নতুন রুটে আরও ট্রেন যুক্ত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। সারাদেশে ৫০৭টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ১০০টিরও বেশি বন্ধ রয়েছে।
এরইমধ্যে ২০২২ সাল থেকে সহকারী স্টেশন মাস্টার, গার্ড, পয়েন্টসম্যান, কারিগরি সহকারী (খালাসি), সহকারী লোকোমাস্টার এবং ওয়েম্যানের পাঁচ হাজার ৩৪২ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।