কেন নিজের পেজ বিক্রি করে দিতে চান সুশান্ত পাল?

সুশান্ত পাল
সুশান্ত পাল  © সংগৃহীত

কক্সবাজারে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসের সাবেক ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সুশান্তের দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপের মধ্যে তিনি নিজের পেজ বিক্রি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, পেজটি কিনতে কয়েকজন ক্রেতা যোগাযোগও করেছেন।

তবে সুশান্ত পাল কেন হঠাৎ পেজ বিক্রি করার আগ্রহ দেখিয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো কিছুই জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।

সুশান্ত পালের অনুসারীদের একটি অংশ বলছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ থেকে ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম করছেন। এটা সেটারই অংশ। তিনি অনেকটা ফান বা মজা করে পেজ বিক্রির এমন পোস্ট করতে পারেন।

ফেসবুকে সুশান্ত পালের একটি প্রোফাইল ও একটি পেজ মিলে তার মোট প্রায় দুই মিলিয়ন অনুসারী রয়েছেন। গত ০৮ মার্চ বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সুশান্ত লিখেছেন, ‘‘পেজটা বিক্রি করতে চাই। ফলোয়ার প্রতি ১ টাকা করে পেলেই বেচে দেবো। আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।’’

আরও পড়ুন: ছয় সহযোগীসহ দুদকের কাঠগড়ায় সুশান্ত পাল

পোস্টের কমেন্টে আগ্রহী ক্রেতাদের কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, কয়েকজন সম্মানিত ক্রেতা ইনবক্সে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বেশিই দামাদামি করছেন। একজন বললেন, ফলোয়ার প্রতি দশ পয়সা করে দিলেও নাকি বেশি হয়! শুনে আমি খুবই বিরক্ত হয়েছি। ফলোয়াররাই আমার জান, আমার প্রাণ। ওদের দাম কিছুতেই এত কম হতে পারে না। তাই আমিও ভদ্রলোককে মুখের উপর ‘না’ করে দিয়েছি।

এদিকে, সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সঙ্গে তার আরও ছয় সহযোগী এ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুশান্ত পালকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে সংস্থাটি।

সুশান্ত পাল ও তার ছয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কক্সবাজারের নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টের রাজস্ব রেয়াতের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে সরকারকে বছরে কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে একটি অভিযান পরিচালনা করে দুদক। ওই অভিযানে হোটেল মালিকদের রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পায় সংস্থাটি। এর ভিত্তিতে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে।

সুশান্তের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপের বিষয়টি ফেব্রুয়ারির হলেও গণমাধ্যমে এসেছে মার্চে। এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলে চারদিকে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এসব সমালোচনা খুব একটা ভালোভাবে নেননি তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় সুশান্ত বলেন, ‘সমালোচনা যদি এরকম হয়— কেউ আপনার কাজের সমালোচনা করতে গিয়ে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন, তাহলে আপনি বুঝে নেবেন যিনি সমালোচক তিনি সমালোচনা করতে জানেন না। কারণ ব্যক্তির কাজের সমালোচনা কখনো ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলে হয় না। তাই সে সমালোচনাটা পুরোপুরি ইগনোর করতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ