০৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৬

নগরপিতা বেছে নিতে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু

  © সংগৃহীত

নগরপিতা বেছে নিতে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং ছয়টি পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচননের ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন এবং তিনটি পৌরসভার (পটুয়াখালী পৌরসভা, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা এবং বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচনসহ তিনটি পৌরসভার (ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদ) মেয়রের শূন্য পদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন উপ-নির্বাচন নিয়ে ৯ মার্চ মোট ২৩১টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন। ময়মনসিংহ সিটিতে ১২৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে থাকছে র‍্যাবের ১৭টি টিম ও বিজিবি থাকবে সাত প্লাটুন।

এই সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি, নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুইটি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র‍্যাবের ২৭টি টিম ও বিজিবি ১২ প্লাটুন।

এই সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী-তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দু'জন।

দুই সিটি নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ১৬ জনের ফোর্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকছে।

এদিকে, পৌরসভাগুলোয় ১২ থেকে ১৪ জনের ও ইউপির নির্বাচনগুলোতে ২২ জনের ফোর্স নিয়োজিত করেছে ইসি।

নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন। কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় যেকোনো জায়গায় ৫ মিনিটের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ পৌঁছানো সম্ভব।