মাদ্রাসা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষোভ চরমোনাই পীরের
সম্প্রতি ‘সারা দেশে যত্রতত্র কওমি-নূরানি মাদরাসা বাড়ছে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে’—বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে দলটির আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমার কারণ মাদরাসা নয় বরং শিক্ষা কারিকুলাম। শিক্ষা কারিকুলামে ভিনদেশি শিক্ষার অনুপ্রবেশের কারণে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই নূরানি মাদরাসা বা কওমী মাদরাসার নয়। এর দায়ভার শিক্ষামন্ত্রীকেই নিতে হবে। শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধনের দাবিকে পাশ কাটিয়ে মাদরাসার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা সরকার ও শিক্ষামন্ত্রীর জন্য সুখকর হবে না। প্রাথমিক শিক্ষার্থী কমার অজুহাতে কওমী ও নুরানি মাদরাসার ওপর হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। নূরানি ও কওমী মাদরাসা নিয়ে নতুন চক্রান্ত ঈমানদার জনতা রুখে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আরো ঢেলে সাজানোসহ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং কুরআন শিক্ষার জন্য নূরানি মুয়াল্লিম নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে অধিকাংশ মানুষের চিন্তা চেতনার আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম ঢেলে সাজাতে হবে। সেইসাথে শিক্ষার সকল অসঙ্গি দূর করতে হবে। এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধনের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের চিন্তা চেতনাকে পাশকাটিয়ে চলমান শিক্ষা কারিকুলাম বহাল কখনো দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
চরমোনাই পীর বলেন, শিক্ষায় পূর্বের ন্যায় নবী-রাসূল, সাহাবায়ে কেরামসহ মুসলিম মনীষীদের জীবন চরিত সংযোজন করতে হবে। আলীয়া মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। সর্বোপরি কথা হলো, শিক্ষায় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি বাদ দিয়ে বিরানব্বই ভাগ মানুষের উপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।