ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় তৃতীয় দফায় পেছাল

অরিত্রীর আত্মহত্যার মামলা

ঢাকা দায়রা জজ আদালত
ঢাকা দায়রা জজ আদালত  © সংগৃহীত

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা ৩য় বারের মতো পেছানো হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এদিন রায় ঘোষণা করেননি তিনি। আগামী ৯ এপ্রিল রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। তবে ওইদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত।কিন্তু ওইদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আজ (৩ মার্চ) ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত ২১ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ধার্য করেন। তবে ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় দুই দফায় পিছিয়ে ৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু এদিনও রায় ঘোষণা করেননি আদালত। অর্থাৎ তিনবারের মতো পেছালো রায় ঘোষণার তারিখ। এ মামলায় ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন শিক্ষক। এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে যেতে বলা হয়। ‍এরই প্রেক্ষিতে তার বাবা-মা স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন। 

ঘটনার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয় চার্জশিটে।


সর্বশেষ সংবাদ