মৃত্যুর তিন দিন আগে কাচ্চি ভাইয়ে কাজ নিয়েছিলেন নয়ন
ঢাকার বেইলি রোড এলাকার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট অগ্নিকান্ডে নিহত নয়ন ও জুনাইদ এর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানকে হাঁরিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন স্বজনরা। নিহত নয়নের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামে। তিনি দিনমজুর সিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং দুর্ঘটনা কবলিত কাচ্চি ভাইয়ে হোটেল বয় হিসেবে চাকরি করতেন।
নিহত নয়নের পরিবার জানান, ৫ দিন আগে বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা গিয়েছিলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের ৩ দিন আগে চাকরিও পেয়েছেন কাচ্চি ভাইয়ের সেই রেস্টুরেন্টে। তবে ভাগ্যের নির্মমতা তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। চাকরি করে পরিবারের জন্য কিছুই করতে পারলেন না।
নয়নের মা নাজমা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলে ফোনে জানিয়েছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার তো আর বাড়ী ফেরা হলো না। ফিরলেন তবে লাশ হয়ে। নয়নের পরিবারটি খুবই দরিদ্র। কাজের টানে ঢাকা গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ীতে ফিরলেন।
অন্যদিকে জুনাইদ শহরের পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাইনুল হক হারুন এর ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষেরশিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল শুক্রবার বাদ মাগরিব শহরের খলিফাপট্টি জামে মসজিদে নামাজে জানাযা হয় জুনায়েদ এর।
এ সময় তার বাবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, আমার সব শেষ। নিহত নয়নের পরিবার জানান, ৫ দিন আগে বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা প্রাণ হারাতে হলো। ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে অভাবের কারনে আর পড়া হয়নি। বাধ্য হয়েই ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করে।
অন্যদিকে একই অগ্নিকান্ডে ভোলার আরো দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন দোলা ও মাহী। তাদের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গুপ্তগঞ্জ বাজারের সাবেক মেম্বার মরহুম মফিজ ব্যাপারীর নাতনী তাঁরা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ওই দিন ২ বোন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট খেতে গিয়ে অগ্নিকান্ডের কবলে পড়েন।