০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৭

কীভাবে আগুন লেগেছে, জানেন না কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার

কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার আব্দুল হালিম  © সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনে লাগা আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামক রেস্তোরাঁ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা অনেকের।

যদিও আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে নিশ্চিত নন বেইলি রোড শাখার ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার আব্দুল হালিম। অগ্ণিকাণ্ডের সময় নিজের রেস্তোরাঁয় উপস্থিত ছিলেন তিনি।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে তা আমি বলতে পারব না। কারণ আমি দোতলা থেকে আগুন দেখে নিচে আসছি। ওইখানে চায়ে চুমুকের কিচেন ছিল। আমি বের হয়ে দেখি ওই চায়ে চুমুকের পুরোটাই আগুন বের হচ্ছে। তার পর ফায়ার ব্রিগেড আসছে। তখন আমি আগুনের ভেতর দিয়ে বের হয়েছি।  

তিনি বলেন, আমি যখন রাত ৯টা ৫০ বাজে, তখন আমি দ্বিতীয় তলা থেকে গ্লাসের ফাঁক দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি ধোঁয়া বের হচ্ছে। তখন আমি আগুনের ভেতর দিয়ে নিচে বের হই। তার পর সবাইকে সতর্ক করে বলি বিল্ডিংয়ে আগুন লাগছে। সবাই নিচে নেমে আসুন। তার পর আমার স্টাফদের বলছি এক্সটিংগুইশার নিচে ফালাও। আমি নিজে এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। আসলে যে আগুন লেগেছে তা এক্সটিংগুইশার দিয়ে নেভানো সম্ভব হয় নাই।  

এ অগ্নিকাণ্ডে বেইলি রোড শাখার ‘কাচ্চি ভাই’র দুজন স্টাফ মারা গেছেন বলে জানালেন ম্যানেজার আব্দুল হালিম। তিনি বললেন, আমার দুজন স্টাফ মারা গেছে। একজনের নাম কামরুল হাসান রকি, তিনি কাচ্চি ভাইর ক্যাশিয়ার। আরেকজন হলো জিহাদ, সে হলো সার্ভিস ম্যান।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত ৪৬ জনের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এসব মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে ১৫ জনই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।