হিজাব না পরায় ৯ ছাত্রীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার মাইসা আক্তারসহ আরও ৭ জনের চুল কেটে নেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা রুমিয়া সরকার।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মাইসা জাহান, তানজিলা আক্তার, আনীল আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফা হিজাব পরে না আসার কারণে তাদের চুল কেটে নেওয়া হয় বলে জানায় তারা।
তারা জানায়, হিজাব না পরার কারণে হঠাৎ করে শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার কাঁচি দিয়ে ৭ম শ্রেণির ৯ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মাইসা জাহান নামে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, ‘আমার একটাই হিজাব। ওই হিজাবটা ময়লা হয়ে গেছে। তাই ধুয়ে দিয়েছি। এজন্য পড়ে যেতে পারিনি।’ ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করে বললেও আমি রক্ষা পাইনি, ম্যাডাম আমাদের চুল কেটে দিল। তাই আমি আর স্কুলে যামু না।
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মেয়েদের সামান্য চুল কাটা হয়েছে তবে হিজাব না পরার কারণে নয়। মেয়েরা একটু উশৃঙ্খলা করেছে এই কারণে শাস্তি দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার আবার বসব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ঘটনা সত্য। চুল কাটার বিষয়টি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদর কাছে স্বীকার করেছেন। আমি অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম তবে মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। ওই তাকে শোকজসহ সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
সিরাজদীখান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও সাব্বির আহমেদ বলেন ,ঘটনা সত্য। ওই শিক্ষিকা মোট ৯ জন ছাত্রীর চুল কেটে নিয়েছে। আমি ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়েছি এই সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হতে পারে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুনিয়া সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায় ।