সুযোগ পেলেই ইসলাম আর মুসলমানদের খোঁচানো হয়: আসিফ নজরুল
ইসলাম ধর্মের ‘ইনশাআল্লাহ’ ও ‘আলহামদুল্লিলাহ্’-এর মতো প্রচলিত সংলাপ নিয়ে সমালোচনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, এদেশে এখন সুযোগ পেলেই ইসলাম ধর্ম আর মুসলমানদের খোঁচানো হয়।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। এখন পর্যন্ত ওই পোস্টে ৬৯ হাজার ব্যবহারকারী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। মন্তব্য করেছেন আরও দশ হাজার ব্যবহারকারী।
ফেসবুকে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘খোঁচানো ব্যক্তিদের অনেকে তথাকথিত প্রগতিশীল। পশ্চিমবঙ্গ আর হিন্দী সংস্কৃতিতে তাদের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু ইসলামী বিষয়ে। এদের দেখে দেখে আমি আগের চেয়ে আরো বেশি ইনশাআল্লাহ আর আলহামদুল্লিলাহ্ বলি। ধর্মচর্চা করি। এসব আমার ধর্মীয় দায়িত্ব। এসব আমার প্রতিবাদও।’’
এ ঘটনার শুরু মূলত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এটিএন নিউজের ‘আ মরি বাংলা ভাষা’ নামে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে। ওই অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক ড. মুনতাসীর মামুন ও স্বকৃত নোমান নামের এক কথাসাহিত্যক।
ওই টকশোর এক পর্যায়ে বাংলা ভাষার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে স্বকৃত নোমান তার বক্তব্যে বলেন, আমি যখন ৯০-এর দশকে বাড়ি থেকে দূরে পড়তে গিয়েছিলাম, তখন আমার বাবার সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে কথা হতো। তিনি আমাকে চিঠি লিখতেন, আমিও তাকে চিঠি লিখতাম। চিঠিতে আমি আমার বাবার সাথে বাংলা ভাষায় কথা বলতাম।
‘‘এখন আপনি খেয়াল করে দেখবেন, এ প্রজন্মের অধিকাংশের সাথে কথা বলতে গেলে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে কেমন আছো? মাশাআল্লাহ। তুমি কি ভাত খাবে? ইনশাআল্লাহ। তুমি কি সুস্থ আছো? জাযাকাল্লাহ।’’
তিনি বলেন, তার মানে কী? তুমি কী বোঝাতে চাও? আমি তোমাকে কি জিজ্ঞেস করলাম, তুমি ভালো আছো? তুমি বলতেছো আলহামদুল্লিাহ। মানে কি? তুমি আমাকে বলো আমি ভালো আছি, ভাইয়া ভালো আছি কিংবা আঙ্কেল ভালো আছি।
স্বকৃত নোমান নামের ওই কথাসাহিত্যকের এমন বক্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা স্বকৃত নোমানের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, মুসলিম হিসেবে আল্লাহর এই নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। বরং কেউ এমন কাজ করলে সে অজ্ঞ।