ট্রাম্পের কাছে ‘নালিশের’ সাড়ে ৪ বছর পর ব্যাখ্যা দিলেন প্রিয়া সাহা
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ‘নির্যাতনের’ যে অভিযোগ করেছিলেন এনজিও কর্মকর্তা প্রিয়া সাহা, তার ব্যাখ্যা দিলেন সাড়ে চার বছর পর।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে জুইশ সেন্টারে ‘হিন্দু মিলনমেলা নিউইয়র্ক’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হিন্দু সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এর আগে, হোয়াইট হাউজে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এক সাক্ষাতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার তথ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
প্রিয়া সাহা বলেছেন, ‘নিজ চোখে দেখা’ সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র আর গুম-খুনের পরিসংখ্যান জেনেই তিনি ওই কথা বলেছিলেন ট্রাম্পকে।
হিন্দু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটা কথা বলা খুব দরকার। আপনারা হয়ত অনেকে জানেন না যে, আমি কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে এই কথাগুলো তুলে ধরেছিলাম। এসব সংগঠন (বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ) থেকে যেমন জেনেছি, নিয়মিত বুঝেছি, আর কেউ যদি মনে করে যে হঠাৎ করে (ট্রাম্পের সাথে) দেখা হয়েছে আর বলেছি, এটা কিন্তু তা নয়।
“ওই পরিসংখ্যানগুলো, বিষয়গুলো তো আমার মধ্যে থাকতে হয়েছে, জানতে হয়েছে। আমাকে গুছিয়ে বলতে হয়েছে আমার সামর্থ্য অনুসারে এবং ঠিক ৪৩ সেকেন্ডের মধ্যে আমি অনেকগুলো বিষয় বলে ফেলেছি, যা দিয়ে মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে, তোলপাড় করেছে, প্রতিবাদ করেছে।”
২০১৯ সালের জুলাইয়ে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রিয়া সাহা।
হোয়াইট হাউজে ডনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন। ওই কথার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তার দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, দেশে প্রতিবাদও হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তখন বলা হয়, “দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যেই প্রিয়া সাহা এই ধরনের বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ করেছেন।”