১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র নেতৃত্বে মন্ত্রীদের কমিটি রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পিঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববারের বৈঠকে মন্ত্রীদের এই কমিটি ৩ লাখ মেট্রিক টন পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির দিন্ডোরির (নাসিক গ্রামীণ) কেন্দ্রের সাংসদ ভারতী পাওয়ার জানান, রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের (জিওএম) একটি বৈঠক হয়, সেখানে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলীর বিষয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

পাওয়ার আরো জানান, রপ্তানি ফের নতুন করে শুরু হলো। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পেঁয়াজ চাষিদের কাছে একটি বিশাল স্বস্তি দেবে এবং পাইকারি পেঁয়াজের দামের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতির এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক উদ্দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।

এর আগে, স্থানীয় বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। গত ৮ ডিসেম্বর দেওয়া এক আদেশে বিষয়টি ঘোষণা করেছে দেশটি। ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রে অসময়ের বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ভারতে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এরপর হঠাৎ এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মুম্বাই-আগ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন শত শত পেঁয়াজ চাষি।