১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৫

সাতক্ষীরায় বসন্তের শুরুতেই আমের মুকুল, মিষ্টি গন্ধে সুরভিত সমগ্র এলাকা

আমের মুকুল  © টিডিসি ফটো

ঋতুরাজ বসন্তের বার্তা নিয়ে গাছে গাছে ছেয়ে গেছে আমের মুকুল। বর্তমানে সাতক্ষীরার সব উপজেলার প্রতিটি বাড়ি ও আম বাগান আমের মুকুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে। সহজ চাষ পদ্ধতি ও তুলনামূলক কম পরিচর্যায় লাভজনক হওয়ায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে সাতক্ষীরায় আমের চাষ।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তার ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনার গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে কেবলই আমের মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আছে আম গাছের প্রতিটি ডাল। চারদিক ছড়াচ্ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।

এদিকে, মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমের বাগানসহ বাড়ি বাড়ি লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের আম গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, আম্রপালি, ল্যাংড়াসহ কাঁচা মিঠা জাতের আম চাষ হয় সাতক্ষীরায় ।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর সাতক্ষীরায় ৪১১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। কম যায় না বাড়িতে বাড়িতে লাগানো গাছগুলো। সব মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বসন্তের শুরুতে কিছু গাছের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। নাবি জাতের আমের ক্ষেত্রে তা আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।

বাগান মালিকরা তারা জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশা বেশিদিন স্থায়ী না হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যা মুকুল বের হবে প্রায় সবই টিকে যাবে। তবে আম রপ্তানির বিষয়ে তিনি জানান, রপ্তানির জন্য এখনো আমের বাগান নির্ধারণ করা হয়নি। পরবর্তী সভায় সব ঠিক হবে।