১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৯

মুশতাককে ছেড়ে আসতে কেঁদে কেঁদে আকুতি জানালেন তিশার বাবা

তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ  © সংগৃহীত

মুশতাককে ছেড়ে আসতে কেঁদে কেঁদে মেয়ের প্রতি আকুতি জানালেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন।

একুশে বইমেলায় গিয়েও হেনস্তার শিকার হন সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতি। এরআগে এই জুটির অসম বয়সি বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। 

এবার বয়সে বড় জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তার অভিযোগ, ব্ল্যাকমেইল করে তিশাকে বিয়ে করেছেন মুশতাক।

তিশাকে উদ্দেশ করে বাবা সাইফুল ফেসবুক লাইভে বলেন, আমি মুশতাকের ছায়াটাও দেখতে চাই না। মুশতাকের নামটা শুনলে আমার ওজুটাও নষ্ট হয়ে যায়। আম্মু তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, কোনো কারণে যদি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, সেটার আবার লাইনে তুলে সামনে আগানো যায়। তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, মুশতাকের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, একটা মেয়ে কতটা জিম্মি হলে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। তিশাকে খুব রেস্ট্রিকসনে রাখে, তাকে মোবাইলেও কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে দিলে মুশতাক পাশে বসে থাকে।

একদিন আমার স্ত্রী তিশাকে বলছিল, মুশতাকের কাছ থেকে না এলে তোমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাবে?

জবাবে তিশা বলেন, আম্মু আমার অনেক অশ্লীল ছবি ওর (মুশতাক) কাছে আছে। ছবিগুলো দিলে লাথি দিয়ে চলে আসতাম। 

এরআগে, ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিশা এবং খন্দকার মুশতাক ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন।