বগুড়ায় সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার
বগুড়ার আদমদীঘিতে মনজুরুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার মুরইল বাজার এলাকার জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর দ্বিখণ্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের কাগজের আদমদীঘি উপজেলা প্রতিনিধি। উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের মরহুম মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মনজুরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে তার আত্মীয়কে পাশের দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে রাখতে যান। সেখানে থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে এই ঘটনার শিকার হন। স্থানীয় লোকজন সড়কের ওপর মনজুরুলের মরদেহ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তার মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গতকাল বুধবার রাতে সাংবাদিক মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। সুরতহালে দেখা গেছে মনজুরুলের কোমরের অংশ দ্বিখণ্ডিত ছিল। বড় কোনো গাড়ির চাকার চাপে শরীরের নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গাড়িটির পেছনের চাকার ছাপ অনেক চওড়া ছিল। যেটা মরদেহ থেকে বেশ কিছু দূরে ছেঁচড়ে গেছে। এর মানে পেছনে দুটি করে চাকা।
ওসি আরও বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে নিহতের স্বজনেরা তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা হত্যা মামলা করতে চান।
আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখণ্ডিত হয় না। এ ছাড়া তার শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তার এই মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে, সেটি কেউ বিশ্বাস করছে না। পুলিশের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান তিনি।