গ্রন্থমেলায় তিশা-মুশতাকের পর ডা. সাবরিনাকে দুয়োধ্বনি

ডা. সাবরিনা হোসেন মিষ্টি
ডা. সাবরিনা হোসেন মিষ্টি  © সংগৃহীত

ডা. সাবরিনা হোসেন মিষ্টি তার নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য একসময় টক অব দ্য কান্ট্রি ছিলেন। করোনার সময় জাল রিপোর্ট দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরই জের ধরে দীর্ঘ তিন বছর জেলে কাটাতে হয়েছে তাকে। সেই তিন বছর বন্দিনী জীবনের কথা নিয়ে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত এই ডাক্তার একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এবারের বইমেলায় তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বন্দিনী’ পাওয়া যাচ্ছে। 

পাঠকদের উৎসাহিত করতে নিজেই স্টলে অবস্থান করছিলেন তিনি। তবে একদল উৎসুক দর্শনার্থীদের রোষানলে পড়তে হয় তাকে। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী তার স্টলের সামনে এসে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে তাকে দুয়োধ্বনি দিতে থাকে। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

তবে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, এ সময় স্টলের মধ্যে নিশ্চুপ ছিলেন সাবরিনা। তাকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া করতেও দেখা যায় নি। যদিও এক সময় পুলিশ এসে উৎসুক জনতাকে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ থাকায় তারা আবার সাবরিনার স্টলের সামনে জড়ো হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের এ সময় গণমাধ্যমকে বলতে শোনা যায়, তার বই কেনার জন্য কেউ আসে নাই, সবাই সাবরিনাকে দেখার জন্য এসেছে। সে করোনা টিকার ভুয়া সনদ বিক্রি করেছে এবং সে মানুষকে ঠকিয়ে ভাইরাল হয়েছে তাই তাকে সবাই দেখতে এসেছে। তার বই লেখার কোনো যোগ্যতা নেই। তাই তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে ধ্বনি দিচ্ছেন তারা। 

এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘তিশার ভালোবাসা’ বইয়ের লেখক খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তার স্ত্রী তিশাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ ‘ছিছি ছিছি’ দুয়োধ্বনি দিয়ে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন মেলায় আসা শতাধিক দর্শনার্থী। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মিজান পাবলিশার্সের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। 

‘তিশার ভালোবাসা’ বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন মুশতাক তিশা দম্পতি। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী তাদেরকে দুয়োধ্বনি দিয়ে তাড়া করে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেইট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। 


সর্বশেষ সংবাদ