ফেসবুকে স্ট্যাটাসের কয়েকঘণ্টা পর আইএইচটি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্টোরি দিয়েছিলেন তিনি। নিহত ছাত্রীর নাম অন্তরা পানুয়া। তিনি বরিশাল আইএইচটির ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গতকাল রোববার আইএইচটির ইন্সট্রাক্টরের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণির কোর্য়াটারের একটি কক্ষে ওঠেন অন্তরা। রাতে ওই কক্ষে একাই ছিলেন তিনি। রাতে ফেসবুক প্রোফাইলে স্টোরিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। তবে সোমবার সকালে দরজা না খোলায় কর্মচারীরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত্যুর আগে ফেসবুক স্টোরিতে অন্তরা লিখেছিলেন, ‘আমি মরলে কোনো বেইমান যেন আমার মৃতদেহ না দেখে, এটা আমার শেষ ইচ্ছা।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, আইএইচটির একটি কক্ষে এক নারীর মরদেহ ঝুলছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কক্ষের দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আইএইচটির অধ্যক্ষ মানষ কৃষ্ণ কুন্ড বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টার শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী কীভাবে সেখানে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।