০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯

নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে শিক্ষা ও দক্ষতা

  © ফাইল ছবি

নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অবকাঠামো নয় গুরুত্ব পাচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়ন। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

জানা গেছে, ২০২৫ সালে জুনে শেষ হচ্ছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রারম্ভিক কাজ শুরু করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। 

পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। একই সঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যেসব খাত পিছিয়ে রয়েছে, সেগুলোকে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেওয়া হবে। 

জিইডি সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অবকাঠামো খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারণ অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে, এখন দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন।

এ ছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্যবর্তী মূল্যায়নে কয়েকটি খাত ছাড়া বেশির ভাগ খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সে ক্ষেত্রে আর্থিক সূচক এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কোনো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এমনকি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এডিপিতে বরাদ্দ নিয়ে অসামঞ্জস্য দেখা গেছে, যাতে পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ব্যাহত হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা পূরণে আগামী দিনে সেটাও বিবেচনায় নেওয়া হবে।

এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে পরিকল্পনা কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অবস্থা তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্য, উন্নয়ন দর্শন ও কৌশল, প্রক্রিয়াসহ প্রণয়ন অগ্রগতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে।