গাইবান্ধায় শেষ হলো জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মশালা
গাইবান্ধার সাঘাটা এবং ফুলছড়ি উপজেলার নির্বাচিত উদ্যমী তরুণদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘Building Capacity Program to Improve Resilience and Adaptation to Climate Change in Gaibandha’ শীর্ষক এ কর্মশালাটি পরিচালনা করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও তার দল।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সারা দিনব্যাপী ভরতখালি ইউনিয়ন পরিষদের এস কে এস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বক্তৃতা, আলোচনা এবং নানা শিক্ষণীয় কার্যকলাপের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ পরিচালনায় প্রধান ভূমিকায় ছিলেন এই প্রজেক্টের কো-অরডিনেটর শাবিপ্রবির বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা। তিনি এবং তার দল উক্ত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন, প্রশমন ও অভিযোজন সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা অজানা বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এছাড়া কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয় এবং পরিবেশ সচেতনতা স্বরূপ সবাইকে একটি করে গাছ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ বিষয়ে প্রজেক্ট কো-অরডিনেটর উম্মে সালমা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সকলে মিলে একযোগে কাজ করলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।’
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পটি হলো-"Unveiling the Nexus of Climate Change Vulnerability due to Riverbank Erosion, Economic Loss and Damage,and Local Adaptation Barriers:A pathway to Empowering Capacity Building for Resilience Future for Sustainability in Gaibandha, Rangpur, Bangladesh'। প্রকল্পটি “Youth Innovation Fund” ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়। এই প্রকল্পে যৌথভাবে আর্থিক সহায়তা করেছে Independent University, Bangladesh (IUB), Embassy of Sweden, Dhaka, International Centre for Climate Change and Development (ICCCAD)।
এই প্রকল্পের অধীনে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের নিজস্ব অভিযোজন পদ্ধতি অনুসন্ধান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা এবং আমাদের করণীয় বিষয়াদি নিয়ে দুর্যোগ প্রবণ এই এলাকাগুলোর নির্বাচিত তরুণ সদস্যের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাতে করে এই বাছাইকৃত তরুণরা তাদের নিজ নিজ এলাকার জনগণের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা ছড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের এক যোগ হয়ে কাজ করার কার্যক্ষমতা তৈরি করা।