বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু কাঠামোগত উন্নতি নয়, বাড়াতে হবে গবেষণাও: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সরকার শিক্ষায় বাজেট বাড়িয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এখাতে বাজেট বাড়ছে। ২০০৬ সালে দেশে মোট যে অর্থ বাজেট বরাদ্দ হয়েছে এখন তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষার বাজেটের সমান। তবে আমাদের এ বাজেট ব্যয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ এবং বাজেট বেড়েছে—শিক্ষার্থীদের জন্য এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সতর্ক থাকার জন্য আমি সবার প্রতি অনুরোধ করবো।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত চা-চক্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক প্রয়োজনে, অ্যাকাডেমিক প্রয়োজনে একটা মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আমাদের যেসব অবকাঠামো তৈরি করা দরকার তা অনুমোদন নিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারি, সেজন্য শিক্ষকদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও চাকরিতে এখনও পিছিয়ে নারীরা
অর্থনীতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশি সংযুক্তি এবং ইন্ড্রাস্ট্রির সাথে অ্যাকাডেমিয়ার সম্পর্ক যেন আরও বাড়ে সেজন্য কাজ করতে হবে জানিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, দেশের সব ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নেতৃত্বপূর্ণ অবস্থান তা যেন আরও বাড়ানো যায়—সেজন্য কাজ করতে হবে। তবে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু কাঠামোগত উন্নতি হলেই হবে না—বাড়াতে হবে গবেষণাও।
নিজের স্নাতক একটি অ্যাকাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি প্রতিষ্ঠান নয়, জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান—আমি এ বক্তব্যের সাথে একমত। তবে সমাজে, কর্মক্ষেত্রে চলতে আমাদের যে দক্ষতাগুলো দরকার হয়, তা যেন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করতে পারি—সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষাবিদ এবং সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সফট স্কিলগুলো বাড়াতেও কাজ করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানব হিসেবে তৈরির পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা এবং অ্যাকাডেমিক দক্ষতাও বাড়াতে কাজ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে।
শিক্ষাবিদ এবং সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।