২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৪

হিরো আলমকে পিস্তলের ছবি পাঠিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি

আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম  © সংগৃহীত

দেশে বিদেশে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে হত্যার এই হুমকি দেওয়া হয়। 

এই ঘটনার পর শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে হত্যার হুমকির স্ক্রিনশট নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, আমার হোয়াটসঅ্যাপে রাত ৩টা ২০ মিনিটে অচেনা একটা নাম্বার থেকে প্রথমে মেসেজ দেয়। সেখানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

ওই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘তুই সাবধানে থাকিস। কতটুকু পড়ালেখা করছোস, তুই আসিফ মাহাতাব স্যারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলি। তুই আমার পরিচয় নিবি নে। তোরে আমি দুদিনের ভেতরে মারমু, তোর কোন বাপে ঠেকায় দেখমু, তুই শেষ।

এরপর ৩টা ২৫ মিনিটে ওই নাম্বার থেকে আরেকটি মেসেজে বলা হয় তোর কতটুকু শক্তি আছে আমি দেখমু। এর তিন মিনিট পরেই একটা পিস্তলের ছবি পাঠানো হয়। আর সেখানে গালি দিয়ে লেখা হয়, প্রকাশ্যে তোকে গুলি করমু। 

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আমি এখন ঢাকায় আছি। ঢাকাতে জিডি করব, সেটা রেডি করছি। আর আসিফ মাহতাবকে নিয়ে আমি কোথাও কোনো কথা বলিনি। বাজে মন্তব্যও করিনি।

বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে হিরো আলম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন গান গেয়ে এবং বিভিন্ন সময় নির্বাচনে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে। তবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কোনোবারই জয়ী হতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তবে বিপুল ভোটে হেরে হারিয়েছেন জামানত। 

এর আগে গত বছর বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় তার। পরবর্তীসময়ে গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েও পরাজিত হন তিনি। হারান জামানতও। এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে 'অনিয়মের' অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।