২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩০

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে: রিজভী

রুহুল কবীর রিজভী  © ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে শিক্ষা কারিকুলাম চালু করা হচ্ছে তা জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পরনির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং গোটা জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করা হচ্ছে। এই শিক্ষা সিলেবাস জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। চলমান কারিকুলামে দেশে উৎকর্ষতর শিক্ষাব্যবস্থার অনুকূল সমাজভূমি কখনোই নির্মাণ হবে না।

নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতি আদর্শহীন, অনৈতিক ও মেধাহীন শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছে। দেশবিরোধী ও ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী নতুন এ শিক্ষানীতি ও কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।

নতুন এ কারিকুলামের ভবিষ্যৎ ভালো নয় বলে দাবি রিজভীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়, শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজানো হয় যাতে নতুন প্রজন্মকে তাঁবেদার বানানো যায়। সর্বজনীন নয় বরং কোনো একটি দেশের শিক্ষাক্রম অনুকরণ করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষানীতিতে বিতর্কিত দাবি করে রিজভী বলেন, কয়েক বছর আগে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা চালানো হলেও সেটা কার্যত ব্যর্থ। বর্তমানে আবার নতুন শিক্ষানীতি ও কারিকুলামের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকোচন করা হয়েছে, ধর্ম শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রয়াসকে চূড়ান্তভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা শিক্ষার নামে যৌনশিক্ষা চালু করে কিশোর মনকে বিকৃত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, নৈতিকতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে তারা বার বার শিক্ষাখাতকে বিতর্কের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে দেশের মানুষ শিক্ষাব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কিত।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামে বিজ্ঞান শিক্ষার মারত্মক সংকোচন দৃশ্যমান। ফিজিক্স-কেমেস্ট্রি-বায়োলজি মিলিয়ে একটা মিক্সাচার থাকবে নবম-দশম শ্রেণিতে সবার পড়ার জন্য আর কোনো অপশন থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ফিজিক্স-কেমেস্ট্রি-বায়োলজির মতো বিশুদ্ধ বিজ্ঞান মাধ্যমিক লেভেল থেকে তুলে দিয়ে কিশোর-তরুণদের বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পথে অন্তরায় তৈরি করা হবে। এই কারিকুলাম বাস্তবায়নের ফলে বৈশ্বিক মানদণ্ডে পেশাভিত্তিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হবে।