অফিস শুরু করেছেন সদ্য শপথ নেওয়া মন্ত্রীরা
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) থেকে প্রথম অফিস শুরু করেছেন। এদিন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব বুঝে নেন তারা। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
আগামী পাঁচ বছর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন নবগঠিত মন্ত্রীসভার সদস্যরা। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের বরণে করেছে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়।
সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নেমপ্লেট পরিবর্তন করা হয়েছে। মন্ত্রীরা সচিবালয়ে পৌঁছলে তাদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। সচিবের নেতৃত্বে পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের বরণ করে নেন। এরপর সম্মেলন কক্ষে হয় পরিচিতি সভা।
প্রথমদিন অফিস করে নতুন পরিকল্পনার কথা জানালেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। মন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করবো। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। কাজের জন্য কোনো কাঠামো বদলের দরকার হলে সেটা করতে হবে। আমাদের কাজের সঙ্গে যা দরকার সেটা করবো।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কর্মসূচি হবে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা।
এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আমি আগেও এই মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। সুতরাং এখানকার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি জানি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যে কাজগুলো চলছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ হয় সেদিকটা দেখব। যাত্রী সেবা, লাগেজ হ্যান্ডেলিং কিভাবে আরো উন্নতি করা যায় এবং কিভাবে আরো নতুন নতুন ডেস্টিনেশনে বিমান যেতে পারে, সেগুলো দেখার চেষ্টা করবো।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়। এর মধ্যে ২৫ জনকে পূর্ণমন্ত্রী এবং ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ পড়ানো হয়।
শপথের পর পরই মন্ত্রীরা তাদের কর্মপরিকল্পনা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ধারাবাহিক উন্নয়নে যেসব কাজ বাকি আছে সেগুলো তো করবেনই; বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা।
এর আগে, গতকাল (১৩ জানুয়ারি) নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।