মালয়েশিয়ায় বিএনপি নেতা কাইয়ুম আটক
মালয়েশিয়ায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনের আওতায় পুলিশ তাকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানায় নেয়। এম এ কাইয়ুম কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তার পরিবারের সদস্য ও মানবাধিকারকর্মীরা এসব কথা জানিয়েছেন।
কাইয়ুমের স্বজনরা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় তিনি সেকেন্ড হোম হিসেবে অবস্থান করছেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
আটকের কারণ জানতে চাইলে কুয়ালালামপুর থেকে এম এ কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফিরে গাড়ি পার্ক করছিলেন কাইয়ুম। এ সময় পুলিশের একটি দল এসে তাকে থানায় যেতে বলে। পুলিশ বলেছে, অভিবাসন আইনের আওতায় অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে তাকে আটক করা হয়েছে। কারণ তার পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে। এ সময় পুলিশকে এটাও জানানো হয় যে তিনি ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
শামীম আরা বেগম আরও বলেন, তিনি স্থানীয় আমপাং থানায় গিয়ে স্বামীর পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে এসেছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে আগামী সোমবার আইনজীবীকে নিয়ে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। বিএনপি নেতা কাইয়ুম ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত।
তাকে আটকের পর কুয়ালালামপুরের মানবাধিকার সংগঠন সুয়ারাম স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। আটকের বিষয়টি সুয়ারাম ব্যাংককে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের নজরে এনেছে। মানবাধিকার সংগঠনটি ইউএনএইচসিআরের স্থানীয় দফতরে যোগাযোগ করে এমএ কাইয়ুমের মুক্তির জন্য সহযোগিতা চেয়েছে বলেও জানা গেছে।