১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৩

কাজী ফিরোজ ও সুনীল শুভকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি

কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভ রায়  © ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ সহ দলীয় সকল পদ-পদবী থেকে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কেন বা কি কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয় হয়েছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি কোনো কিছু বলা হয়নি।

কাজী ফিরোজ রশীদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি ১০ আগস্ট ১৯৮৭ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত নৌপরিবহন উপমন্ত্রী ছিলেন। ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২৭ মার্চ ১৯৮৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ থেকে ৯ আগস্ট ১৯৮৯ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও ৯ আগস্ট ১৯৮৯ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় হু‌সেইন মুহম্মদ এরশা‌দের প্রেস অ্যান্ড প‌লি‌টিক্যাল সে‌ক্রেটা‌রির দা‌য়িত্ব পালন করেছেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগমুহুর্তে জাতীয় পার্টিতে দলীয় বিভাজন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আর চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। রওশন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে জিএম কাদের ক্যু করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। 

দলে রওশনপন্থি বলে পরিচিত নেতাদের এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরশাদের নির্বাচনি আসন রংপুর–৩ থেকে নির্বাচন করেন জিএম কাদের। যদিও ধারনা করা হয়েছিল, এরশাদের ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এই আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন। প্রতিবাদে নির্বাচন বর্জন করেন রওশন ও তাঁর অনুসারিরা।