৯০ দশকের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় ‘পপি গাইড’ হঠাৎ আলোচনায়
অনেক বছর পর আলোচনায় এসেছে নব্বইয়ের দশকে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় পাঠ্যবইয়ের অন্যতম সহায়ক বই ‘পপি গাইড’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার অন্যতম কারণ এই গাইডের লেখক মো. আবদুল মজিদ এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন।
২০০৪ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি ‘পপি গাইড’ বইয়ের এই লেখক কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনে ‘ট্রাক’ প্রতীক নিয়ে ৪৪ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। নির্বাচনে হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা আহমাদকে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৫৩টি।
আবদুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে শিক্ষা জীবন শেষ করেছেন। ১৯৮৮ সালে পপি গাইড লেখা শুরু করেন তিনি। বড় মেয়ে নাহরিন ফারহানার পপির নামে গাইডের নাম দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত গাইডটি বাজারে পাওয়া যেত। নাহরিন ফারহানা রাজধানীর গুলশান কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সেখানে তিনি ইংরেজি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক।
নির্বাচনে জয়ের পর অনেকে পপি গাইড লেখক আবদুল মজিদ ও তার মেয়েকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন। লিখেছেন, ৩০ বছর আগে তাদের সময়ে পপি গাইড পড়েননি এমন শিক্ষার্থী ছিল বিরল। কালের বিবর্তনে এই গাইড বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রায় অচেনা হয়ে পড়েছে।