১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৭

প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীকে চড় মেরে পাল্টা চড় খেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীকে চড় মেরে পাল্টা চড় খেলেন ম্যাজিস্ট্রেট
আটক মেহেদী হাসান অভি  © সংগৃহীত

বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঢুকে সরকারি কাজে বাধা ও সহকারী কমিশনারকে (এনডিসি-নেজারত) চড় মারার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জেলা প্রশাসন। 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক ওই যুবকের নাম মেহেদী হাসান অভি (২৮)। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত টিএসআই মজিবুর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে উভয় পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ‘সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ওই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’

তবে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসান অভি সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্প্রতি প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু তার ফল আসেনি। বিষয়টি জানতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। কার্যালয়ের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকা জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের (এনডিসি-নেজারত) কাছে গিয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখতে চাই। এ নিয়ে সহকারী কমিশনারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরীক্ষার ফল চ্যালেঞ্জ করলে উত্তেজিত হয়ে আমার গালে চড় মারেন সহকারী কমিশনার। তখন আমিও পাল্টা চড় মেরেছি। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীরা আমাকে একটি কক্ষের চেয়ারে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।’

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে সহকারী কমিশনারের তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় সহকারী কমিশনার ওই যুবককে চড় মারেন। যুবকও পাল্টা চড় মারেন। বিষয়টি দেখে কর্মচারীরা ওই যুবককে আটক করে মারধর করেছেন।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে এক যুবক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঢুকে এক কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। সে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। এজন্য তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি একেএম আরিচুল হক বলেন, ‘অভি নামের ওই যুবক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্টিফিকেট শাখায় ঢুকে এক কর্মকর্তাকে অন্যায় কাজের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন, যা অফিসিয়াল আইনবিরোধী। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীরা তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ওই যুবক সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে বলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে জানালেও এখনও মামলা করেননি। মামলা কিংবা অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’