পাঁচ মাস পর বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
পাঁচ মাস চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সময়ের আলোকে এ তথ্য জানান তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকলে বোর্ডের একজন সদস্য।
ওই চিকিৎসক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। জরুরি কিছু চিকিৎসা শেষে ফের কেবিনে নেওয়া হয়। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বৃহস্পতিবার বাসায় নেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদি শারিরীক অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে। তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বাসায় ফিরতে চান। দীর্ঘ হাসপাতালে থেকে কিছুটা বিরক্ত। এখন তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার স্বাভাবিক রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড পর্যবেক্ষণ করে ওষুধে পরিবর্তন আনেন। বাসায় নেওয়ার পরও তার চিকিৎসা চলবে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষে সবার কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে গত ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দির পর খালেদা জিয়া একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অসুস্থতার মধ্যে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণেও তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে গত ৯ আগস্ট থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে চিকিৎসার জন্য ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করেন। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি। খালেদা জিয়া বন্দির পর তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।