ভোটের হার সবচেয়ে বেশি গোপালগঞ্জে, সর্বনিম্ন ঢাকায়
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মোট ২৯৯টি আসনে একটানা ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে ভোটের হার সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে কম ভোট কাস্ট হয়েছে ঢাকা-১৫ আসনে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৯৮টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ–৩ আসনে। এ আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন একতারা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর।
ইসি আরও জানায়, সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে। এখানে ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫০৭ জন। নৌকা প্রতীকে কামাল আহমেদ মুজমদার ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলের প্রার্থী সামসুল হোক ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
এবারের নির্বাচনে ভোট পড়ার হারের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছে গোপালগঞ্জ–২ আসন। এই আসনে ভোট পড়েছে ৮৩ দশমিক ২০ ভাগ ভোট। শুধু ঢাকা–১৫ আসনে নয়, রাজধানীতে জাতীয় সংসদের যে ১৫টি আসন আছে, সব কটিতেই ভোট পড়ার হার বেশ কম। এই ১৫টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে ঢাকা–১২ আসনে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর মধ্যে এক বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নওগাঁও-২ আসনের নির্বাচন বাতিল করে ইসি। ময়মনসিংহ-৩ আসনে অনিয়মের কারণে ভোটের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচন শেষে ২৯৮ আসনের ফলাফল প্রকাশ করে ইসি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড মেনে নির্বাচন হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পৃথক বিবৃতিতে দুটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এ কথা বলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। একইসঙ্গে আমেরিকা বলছে, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না।
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে এবং এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।