০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৩

বেনাপল এক্সপ্রেসে আগুন: জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের দাবি বিএনপি

  © সংগৃহীত

বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে হতাহতের হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এক বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন । শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে এই বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে হতাহতের ঘটনা নি:সন্দেহে নাশকতামূলক কাজ এবং মানবতার পরিপন্থি এক হিংস্র নিষ্ঠুরতা। আমি এই ঘটনায় ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাই। গত ২০১৪ ও ২০১৫ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেই মুহূর্তে অগ্নিসন্ত্রাসের নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট দুষ্কৃতিকারীরা জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। 

আজকের ঘটনাসহ সম্প্রতি সেই মনুষ্যত্বহীন প্রাণবিনাশী অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে। আজকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হতাহতের ঘটনার দ্বারা সেই পুরনো কৌশলকেই ব্যবহার করা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ জনসমর্থিত হওয়ায় এর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন মহল দিশেহারা হয়ে গভীর চক্রান্ত ও নাশকতার ওপর ভর করেছে। এই অমানবিক ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব স্বৈরাচারই ভিন্নমতকে দমন করার জন্য সন্ত্রাস ও নাশকতার পন্থা অবলম্বন করে থাকে। দেশে-দেশে স্বৈরশাহী মানবতাবোধ শূন্য ও অনুভূতিহীন হয়ে থাকে। আজকে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে যে ধ্বংস ও বিপদের পথ উন্মোচন করা হলো তাতে দেশ ও জাতিকে এক গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনায় জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছি।

আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জীবনহানি ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেককে মারাত্মক জখম করার কাপুরুষোচিত ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।