এক স্কুলেই ৩২ বছর, শিক্ষককে অশ্রুশিক্ত নয়নে বিদায়
৩৩ বছরের শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরে গেছেন চাদঁপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫৫ নম্বর কাঁশারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক বেগম রাবেয়া। চাকরি জীবনে ৩২ বছর কাটিয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানটিতে।গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল তাঁর শিক্ষকতা জীবনের শেষ কর্মদিবস। দীর্ঘদিনের কর্মজীবন শেষে সহকর্মী, শিক্ষার্থীদের অশ্রুশিক্ত নয়নে বিদায় নিয়েছেন তিনি। এদিন প্রিয় শিক্ষককে অবসরে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
বেগম রাবেয়া ১৯৯০ সালের ২২ মে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। শুরু এক বছর অন্য একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরের বছর বদলি হয়ে আসেন কাঁশারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর একে একে কেটে গেছে প্রায় ৩২ বছর। শুরুর দিক থেকেই গণিত বিষয়ে পাঠদান করায় শিক্ষার্থীদের কাছে ‘অঙ্কের ম্যাডাম’ হিসেবেই পরিচিত।
শিক্ষকতা জীবনের শেষ কর্মদিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার সহকর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত হন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। প্রিয় শিক্ষককে অশ্রুসজল নয়নে বিদায় দেন তারা। সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। শিক্ষাগুরুকে পুষ্পমাল্য পরিয়ে ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন তাঁর শিক্ষার্থীর।
আরও পড়ুন: বাকৃবি থেকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে অলক, হতে চান গবেষক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গুলশান আক্তার বলেন, আজ সত্যিই আমাদের জন্য বেদনার দিন, মন খারাপের দিন। রাবেয়া ম্যামকে আর কোনোদিন ক্লাসে পাব না ভাবতেই খারাপ লাগছে। সহকর্মী হিসেবে তার কাছে অনেক কিছু শিখেছি, অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তার ন্যায়পরায়ণতা, কর্মদক্ষতা, সততা ও সময়ানুবর্তিতা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বিদায় অনুষ্ঠানে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান, সহকারী শিক্ষা অফিসার অলি উল্লাহ, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইলিয়াস আহমেদ, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর তারেক নাথ মল্লিক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ফরিদগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন কবির, মহিলা সম্পাদিকা হাসিনা আক্তার, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।