দুই ঘণ্টা পরপর ভোটের সংখ্যা ও শতাংশ জানাতে হবে ইসিকে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের সংখ্যা ও হার (শতাংশ) দুই ঘণ্টা পর পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল যথাযথভাবে প্রাপ্তির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ইন্টারন্যাল ব্যবস্থায় নির্ধারিত রেজাল্ট ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম (আরএমএস) সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে। উল্লিখিত সফটওয়ারের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নির্ধারণ করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত কেন্দ্রভিত্তিক ভোটগণনার বিবরণী (ফরম-১৬) হতে ফলাফল সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে (আরএমএস) সফটওয়ারের মাধ্যমে এন্ট্রি করতে হবে। একই সঙ্গে ফরম-১৬ স্ক্যান করে উক্ত সফটওয়ারের মাধ্যমে আপলোড করবেন এবং তথ্যাদি সংরক্ষণ করবেন।
এছাড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রেরিত তথ্যাদি রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে যাচাইপূর্বক রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদনক্রমে বার্তাশিট প্রস্তুত করবেন। এরপর বার্তাশিট প্রিন্ট করে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক স্ক্যান করে (আরএমএস) এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করবেন। এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারকে জেলা নির্বাচন অফিসার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
পরিপত্রে বলা হয়, ‘স্মার্ট ইলেকশন বিডি অ্যাপ’ মাধ্যমে ভোটের দিন প্রতি দুই ঘণ্টার ব্যবধানে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার জানার জন্য এবং একই সঙ্গে সাধারণ নাগরিক পর্যায়ে ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দল ও আসনভিত্তিক ফলাফলসহ নানা ধরণের তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের দুই ঘণ্টা অন্তর প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ও শতকরা হার প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক সরবরাহকৃত ভোট গণনার ফলাফলের একীভূত বিবরণী (ফরম-১৮) পূরণ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানের আধিক্য থাকায় ভোটগ্রহণ শেষে পদ্ধতিগতভাবে নির্ধারিত ফরমে (ফরম-১৮) আনুষ্ঠানিক ফলাফল একীভূত করার সময়ে প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে কতটি পোস্টাল ব্যালট প্রাপ্ত হয়েছে তা যোগ করে সর্বমোট প্রাপ্ত ভোট হিসাব করতে হবে।