দ্বাদশ নির্বাচনে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের দেয়া ভোট পোস্টালে চলে যাবে রিটার্নিং অফিসে। আগামী ৭ জানুয়ারি এই ব্যালট খুলবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে ভোট দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি পাবনা-৫ আসনের এর একজন ভোটার। সেখানে ভোটের দিন গেলে আমার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া বিলম্বিত হতে পারে। সাধারণ ভোটারদের বিঘ্নিত করা উচিত হবে না মনে হয়েছে। তাই বিধি অনুযায়ী ভোট প্রয়োগ করেছি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং একাধারে সুপ্রিম কমান্ডার অব দ্য আর্মি হিসেবে এই মুহূর্তে বঙ্গভবন ত্যাগ করা সমীচীন হবে না বলে মনে করছি। ভোট দেয়া নাগরিক কর্তব্য। সংবিধান ও নির্বাচন কমিশন আইন পর্যালোচনা করে দেখেছি, ভোটাধিকার অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, ভোটারদের ভোগান্তি এড়াতে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলের দশম অধ্যায়ে পোস্টাল ব্যালট প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্নরূপ ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
১. কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে।
২. বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটার।
৩. যে ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকলে।
আরও পড়ুন: মাঠে নামলো সেনাবাহিনী, পালন করবে যেসব দায়িত্ব
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি (রোববার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ থেকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগরী এলাকার মোড়ে এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।
নির্বাচনের চারদিন আগে থেকে দেশের ৬২ জেলায় আজ সকাল থেকে নির্বাচনের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।