শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিল, শামীম হকের সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পর
বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তার কোনো সুযোগ থাকল না। অন্য দিকে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে শুনানি এক সপ্তাহ পর হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৯ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে শাম্মীর আবেদন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়ার আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তার আগে ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের। আপিল আবেদন শুনানি করে এমন রায় দেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী আহমেদ।
এদিকে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। শামীম নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বলে অভিযোগ আনেন তিনি।
এরপর শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে শামীমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় ইসি। সেটার বিরুদ্ধে রিট করেন শামীম। ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে তিনি আবেদন করেন।
ওই দিন চেম্বার আদালত তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন। এরপর এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন এ কে আজাদ। যে আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল।