৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৫

স্বপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়া: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়া। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে তিনি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া একটা দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হয় না। এজন্য আমরা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এবং বাজেটেও বেশি বরাদ্দ রাখি। এছাড়া শিক্ষাকে বহুমুখী করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষাকেও আমরা বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়ে সেখানে বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি, এভিয়েশনসহ সব ক্ষেত্রে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আজকের ছেলেমেয়েরাই আমার মত প্রধানমন্ত্রী হবে। ভালো শিক্ষক হবে। আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবার। তাও আবার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। সেটি হতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা হয়ে উঠেনি। কারণ আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করতো, জেলে নিয়ে যেতো। এতে বারবার আমাদের পড়াশুনায় বাধা হতো। যখন আমি মাস্টার্সে পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তখনিই ৭৫য়ে আমার বাবা-মা সহ সবাইকে মেরে ফেলা হয়। তখন আমি আমার ছোট বোন ছিলাম দেশের বাহিরে। তখনও ছোট বোনেরও পরীক্ষা ছিল। আমারা আর তখন দেশে আসতে পারিনি। তখন যারা সরকার ছিল তারা আমাদের আসতে দেয়নি।
 
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণির সভাপতিত্বে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকা (টিজি) বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ শিক্ষার্থী পাবে ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮টি পাঠ্যবই। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জনকে দেওয়া হবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭ পাঠ্যবই। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১টি বই। এ ছাড়া মাদ্রাসার ইবতেদায়ি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬ পাঠ্যবই।