৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪

তিনদিনের ছুটিতে ভোট দেওয়া ছাড়াও আরও যা করতে পারেন

আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি   © সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরআগের দুদিন জানুয়ারির ৫ ও ৬ তারিখ (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে শুক্রবার-শনিবার-রবিবারসহ একটানা ৩ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে তিনদিনের ছুটিতে ভোট দেওয়া ছাড়াও আরও যা করতে পারেন আপনারা।

এই ছুটিতে বাসায় বসে যাতে বোর হতে না হয় তাঁদের জন্য থাকছে পরামর্শ। 

* বর্তমানে কর্মস্থলে অসম্ভব ব্যস্ততার মাঝে কাটে আমাদের কর্মজীবন ও কর্ম দিবসগুলো। দেখা যায় সপ্তাহের মধ্যে ১ দিন অথবা ২ দিন শুধু আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিন পাই। বেশিভাগক্ষেত্রেই আমরা ছুটির দিনটি শুধু ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। কিন্তু আমরা চাইলেই ছুটির দিনকে একটু ভালভাবে গুছাতে পারি।

* ছুটির দিনে কেবলমাত্র পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ হয়। তাই এই স্বল্প সময়টুকু পরিবারের সাথে উপভোগ করুন। পরিবারের সবাই মিলে একসাথে রান্না করতে পারেন। মজার ছলে বেশ ভালো সময় কাটানোর সুযোগ হয় এতে। পরিবারের সঙ্গে ঘরোয়া খেলাগুলো খেলতে পারেন। বিকেলের চায়ের চুমুকের পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের সাথে খেলতে পারেন লুডু, কেরাম, দাবাসহ পছন্দের খেলাগুলি। এতে আপনার পারিবারিক বন্ধন মজবুত হবে। 

* এই ছুটিটাকে কাজে লাগাতে পারেন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা মিলে বাড়ির ছাদেই আয়োজন করতে পারেন মিলনমেলার। সবার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠার পাশাপাশি বাড়ির ছোট সদস্যদেরও কোয়ালিটি সময় কাটবে। দিনের যেকোনো সময় একটু সময় করে অন্তত এক বার হলেও নিজের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের সাথে ফোনালাপন করুন। এতে আপনার সম্পর্ক ভাল থাকবে।

* ব্যস্ততার কারণে হয়তো সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। ছুটিটাকে কাজে লাগান। বাইরে যাওয়ারও দরকার নেই। বাড়িতেই সবাই মিলে নিতে পারেন ত্বক ও চুলের যত্ন। এক দিন প্রিয়জনদের কাছে থেকে একটু যত্নের ছোঁয়া পেলে কার না মন ভালো লাগবে। কোনো রোগবালাই থাকলেও হয়তো চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয় না। ছুটির দিনটিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে চিকিৎসাটাও সেরে ফেলুন।

* রাতে খাবারের আগে একসাথে বসে গল্প, কবিতার বই আবৃতি করে পরিবারকে শুনাতে পারেন। একিই সাথে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খোঁজ খবর নিতে পারেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ তাহলে রাতে খাওয়ার সময়টুকু একসাথে মুভি কিংবা নাটক দেখতে পারেন অথবা আলোচনা করতে পারেন ছেলেমেয়েদের জীবনে কি ঘটেছে।

* কাজের ফাঁকে অনেকেরই একটু গেম খেলা, একটু সোশ্যাল মিডিয়া দেখার অভ্যাস থাকে। হালকা ব্রেক নিতে করতেই পারেন, কিন্তু এটাই যেন নিয়ম হয়ে না যায়! তাহলে কিন্তু সময় নষ্ট হবে আর কাজের বোঝা বাড়তেই থাকবে! সারা দিনে ওয়ার্কিং আওয়ারের মধ্যে ১৫ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমের পেছনে নষ্ট করবেন না! বরং দ্রুত কাজগুলো সেরে ইচ্ছেমতো অবসর কাটান।

* কর্মব্যস্ততার কারণে বাজারে বা শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটার সুযোগ তো হয়ই না। অফিস থেকে বের হতেই দেখা যায় মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। তাই অনেক জরুরি কিছুই কেনা হয়ে ওঠে না। তাই ছুটির দিনে কি কেনা প্রয়োজন তার তালিকা বানান। তারপর চটজলদি বেরিয়ে পড়ুন, সময় নিয়ে কিনে ফেলুন।

আপনি ব্যস্ততার চাপে হয়ত ভুলতে বসেছেন যে আপনার বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে। সেগুলোকে ঝালাই করার মতো সময় বা সুযোগ আপনার হয় না হয়তো। হওয়ার কথাও না। সেক্ষেত্রে আমরা ছুটির দিনগুলোকে কিছুটা কাজে লাগাতেই পারি। ধরুন ছবি আঁকলেন, পছন্দের কোনো গান তুলে ফেললেন গলায়।

জমে থাকা কতো কাজ, কতো দায়িত্ব, নিজেকে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য তো ছুটির দিনই রয়েছে। তাই কাজে লাগান এই দিনগুলোকে।