২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:০৮

সাধারণ নাগরিক হিসেবে নির্বাচন করছি: পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান

ড. মোহাম্মদ সাদিক  © ফাইল ফটো

সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, চাকরি থেকে আমি অবসর নিয়েছে ১০ বছর আগে। সুনামগঞ্জের ধারারগাঁওয়ের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি তো পিএসসির (সরকারি কর্মকমিশন) বর্তমান চেয়ারম্যান বা ইসির (নির্বাচন কমিশন) বর্তমান সচিব না। কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্যের সঙ্গে আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমার কর্মীরা প্রেশারের (চাপ) মধ্যে আছে। এটা তো সত্য তিনি এখনও সংসদ সংসদ এবং আমি তাঁর সঙ্গে নির্বাচন করছি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

পিএসসির সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, সুরমা নদীতে সেতু না হলে উত্তর সুরমার মানুষ উন্নয়ন অভিযাত্রা’র বাংলাদেশে যুক্ত হবেন না। শহররক্ষা বাঁধ এবং বাইপাস সড়ক না হলে সুনামগঞ্জ শহর বাঁচবে না। সীমান্তের প্রান্তিক জেলা সদরের উন্নয়ন অগ্রগতি’র জন্য ডলুরায় ইমিগ্রেসনসহ শুল্কবন্দর লাগবে। নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার উন্নয়নের মধ্যে এগুলো গুরুত্ব দেব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীরা কেউ আমার পক্ষে অবস্থান নেননি। ভিত্তিহীন অভিযোগ শুনলে দুঃখ লাগে।  বর্তমান সংসদ সদস্যের অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে, তিনি দু’বারের সংসদ সদস্য। ভোটারদের সঙ্গে তাঁর অনেকভাবে সম্পর্ক আছে। আমার কর্মীরা মাঝে মধ্যে বলে, তারা সংকীর্ণ থাকে। আমি তাঁকে কোনো দোষ দিচ্ছি না।

আওয়ামী লীগ ও নিজের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে ড. সাদিক আরও বলেন, সুনামগঞ্জের যে জায়গায় গিয়েছি, সবাই কয়েকটা ব্রিজের কথা বলেছেন। ব্রিজের জন্য কয়েকটা গ্রামের মানুষ কখনও স্থলপথে কোথাও যেতে পারেন না। এর মধ্যে ফতেপুর, পৈন্দা, ধারারগাঁও-হারুয়ারঘাট উল্লেখযোগ্য। এ সব ব্রিজের কথা বলায় তাদের চোখের পাতা ভিজে যায়। নির্বাচিত হলে, এগুলো করার সাধ্যমতো চেষ্টা করব। কিছু রাস্তা-ঘাট, মন্দির-মসজিদ-কবর-শ্মশানের কথা অনেকে বলেছেন।

অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সহ-সভাপতি করুণা সিন্ধ চৌধুরী বাবুল, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, দপ্তর সম্পাদক বিমান কান্তি রায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হাছান শাহীন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক স্বপন রায় সপু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কল্লোল তালুকদার চপল, সদস্য সাজ্জাদ হোসেন নাহিদ, মো. শাহারুল আলম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুভ বনিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ঝন্টু তালুকদার, মাসতুরা তাসনিম সুরমা উপস্থিত ছিলেন।