২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:৩৫

আইন পড়তে কলেজে ভর্তি হয়েছেন ডাক্তার সাবরিনা

ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন  © ফাইল ছবি

আইনজীবী হতে এবার ল’ কলেজে ভর্তি হয়েছেন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় আলোচিত ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন। তিনি বর্তমানে ল’ কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি এখন তিনি কলেজে তার সহপাঠীদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। আইনজীবী হয়ে তিনি আইন বিষয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাবরিনার কলেজের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে তিনি তার সহপাঠীদের নিয়ে দারুণ সময় উপভোগ করেছেন। ওই অনুষ্ঠান থেকে এক ভিডিও বার্তায় ল’ কলেজে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তবে তিনি ঠিক কোন কলেজে ভর্তি হয়েছেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি।

ডাক্তার সাবরিনা তার ল’ কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের একটি ভিডিওতে বলেন, একটা সময় আমি ভাবতাম, মানুষের জীবনটা বেশি জরুরি। তখন আমি মেডিকেলে পড়েছিলাম। কিন্তু একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমার মনে হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবনের চাইতে মানুষের মান-সম্মানটা অনেক বেশি জরুরি।

তিনি বলেন, ‘‘এখন আমি ল’ পড়ছি। আমি এলএলবি ফার্স্ট ইয়ারের শিক্ষার্থীরা।’’ তার পাশে বসে থাকা সহপাঠীদের দেখিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘আমার সাথে উনারা সবাই আমার সহপাঠী। আমরা সবাই মিলে আমাদের ল’ কলেজের একটা অনুষ্ঠানে এসেছি। এখানে আইনজীবীরাও আছেন, স্টুডেন্টরাও রয়েছেন।’’

আইনজীবী হয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এলএলবি পাস করার পর বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিয়ে আমার আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা। আইনজীবী হয়ে এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা—যারা আইন সম্পর্কে নিতান্তই কম বোঝেন। যারা বিনা অপরাধে দিনের পর দিন জেল খাটছেন।

চলতি বছরের গত ১৬ জুন এক হাজার ৬৯ দিন (প্রায় ৩ বছর) পর কারাগার থেকে মুক্তি পান করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় দণ্ডিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন। তিনি গ্রেপ্তার হন ২০২০ সালের ১২ জুলাই। 

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাবরিনা শারমিন এবং প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে তিনটি পৃথক অভিযোগে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।

২০২০ সালের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।