২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৮

মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

‘ধর্মের নামে এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। এদেশের মাটি সব ধর্মের মানুষের। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনি ফায়দা লুটবে; এটা এদেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না।’

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

এদিন দুপুরে গণভবন প্রাঙ্গণে বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অংশ নেন দেশে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা।

অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‌‘এদেশে স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’

এ সময় বিশ্বের সকল খ্রিস্টান ধর্মের মানুষের বড় দিনের শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। বলেন, বাংলাদেশের মাটি সকলের জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সকলের রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। 

এ সময় ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এদেশেও কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের অপচেষ্টা করছে। মানুষ হত্যা করে কোন ধরনের রাজনীতি তারা করছে? এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কাজ করি এদেশের মানুষের জন্য। আমরা মানবতার কথা বলি। যিশু খ্রিস্ট মানবতার কথা বলেছেন। মহানবী সা. মানবতার কথা বলেছেন। আমরাও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণে কাজ করছি। সকল ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করছে এই দেশে হাজার বছর ধরে। আমরাও এই নীতি মেনে চলছি। ধর্ম যার যার উৎসব সকলের।

তিনি বলেন, ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই।

বিরোধী দল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কী অর্জন করছে তারা এটাই প্রশ্ন। আমরা চাই সংঘাত বন্ধ হোক। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনি ফায়দা করবে এটা এদেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মানবতার কল্যাণ করাই ধর্মের শিক্ষা।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বড়দিন উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে খ্রিস্ট ধর্ম অনুসারীদের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।