রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেন জেলে!
কক্সবাজারের মহেশখালীর সমুদ্র উপকূলে এক জালেই ধরা পড়েছে ১৫৯টি ‘সমুদ্রের সোনা’ খ্যাত কালো পোপা মাছ। মাছগুলো ঘাটে পৌঁছানোর পর দাম হাঁকানো হয়েছে দুই কোটি টাকা।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) মোজাম্মেল বহদ্দার নামের ওই জেলের জালে মাছগুলো ধরা পরে। পরে এদিন দুপুরে মাছগুলো ঘাটে পৌঁছানোর পর দুই কোটি টাকা দাম হাঁকানো হয়। তার জালে ধরা পড়া প্রতিটি মাছের ওজন ৭ থেকে ১০ কেজির ওপরে। মোজাম্মেল বহদ্দার ধলঘাটা ইউনিয়নের সরিতলা গ্রামের বাসিন্দা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মূল্যবান এই মাছটি মহেশখালী ও সেন্টমার্টিন উপকূলে মাঝে-মধ্যে ধরা পড়ে। এই মাছের ফদনা (বায়ুথলি), পাখনা ও আঁশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু বলেন, মোজাম্মেল বহাদ্দারের মাছ ধরার ট্রলারটি শুক্রবার ভোরে সাগরে রওনা দেয়। মহেশখালী সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জাল ফেলেই তাতে ওঠে ১৫৯টি কালো পোপা মাছ।
সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, মাছগুলো ঘাটে নেওয়ার পর স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা দেড় কোটি চেয়েছেন। কিন্তু মোজাম্মেল বহাদ্দার মাছগুলো চট্টগ্রাম শহরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত মাছগুলো বিক্রি হয়নি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও সমুদ্র বিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, কালো পোপাকে সমুদ্রের সোনা বলা হয়। এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে মূল্যবান সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হয়। এ জন্য বড় পোয়া মাছ ধরা পড়লে ব্যবসায়ীরা দাম দিয়ে কিনে নেন।
এছাড়া মাছটির চামড়া দিয়ে জেলাটিন তৈরি হয়। মাছটি সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা ও ওজনে ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষ মাছের বায়ুথলি স্ত্রী মাছের চেয়ে দামে বেশি। বাংলাদেশ থেকে এ মাছের বায়ুথলি সাধারণত হংকং, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করা হয়। এ মাছের পাখনা ও আঁশও রপ্তানি হয়।