জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা আজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ AM , আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৮ AM
আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে জাতীয় পার্টি (জাপা)। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু দলের পক্ষ থেকে এ ইশতেহার ঘোষণা করবেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা যায়, জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের তত্ত্বাবধানে এবারের ইশতেহার চূড়ান্ত করেছে দলটি। এর আগে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, এবারের ইশতেহারে এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যা বড় রাজনৈতিক দলগুলোও হয়তো ভাবছে না।
জাতীয় পার্টির এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি বন্ধের বিষয়টি। উপজেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চায় তারা। এছাড়াও কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে দলটি। কৃষি ও বাজার মনিটরিংসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন করার অঙ্গীকারও থাকছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের রূপরেখা দেওয়া হবে।
প্রাদেশিক সরকার, নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার, গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কথা থাকছে ইশতেহারে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে কর্মমুখী শিক্ষা প্রণয়নের কথাও এতে বলা হয়েছে। কৃষি খাতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি প্রদান, সহজলভ্য ব্যাংক ঋণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেও থাকছে দলটির রূপরেখায়।
নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার রক্ষা এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উন্নত ও আধুনিক দেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা থাকবে নির্বাচনি ইশতেহারে। এছাড়া ক্ষতায় গেলে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও তাদের চাহিদা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ আইন করার কথাও সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিকল্পনা, বিকল্প জ্বালানি হিসাবে সৌরবিদ্যুতের দিকেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।